উদ্যোগ একটা সাধারণ পরিভাষা। নতুন কোনো বিষয়ে যিনিই কোনো প্রয়াস নিয়ে সামনে এগিয়ে যান তাকেই উদ্যোক্তা হিসেবে দেখা হয়। একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা, স্কুলে কলেজ শিফট চালু, এলাকায় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন, গ্রামের বাজারে মোবাইল ব্যাংকিং এর চেইন পয়েন্ট চালু, মহল্লায় বিউটি পার্লারের দোকান খোলা-এর সবই উদ্যোগের উদাহরণ। দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ, রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার প্রয়াস, আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ এগুলোও উদ্যোগেরই আওতাভুক্ত। অন্যদিকে উদ্যোগের যেই অংশ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তাকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে । নতুন ব্যবসায় গঠন বা নতুন পণ্য, সেবা, পদ্ধতি বা বাজার সামনে রেখে একজন ব্যবসায়ীর উদ্যোগকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলা হয়ে থাকে। উদ্যোগের বিষয়বস্তু অনেক ব্যাপক । অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক যে কোনো বিষয়েই উদ্যোগ গৃহীত হতে পারে। কিন্তু ব্যবসায় উদ্যোগের বিষয়বস্তু নতুন ব্যবসায় শুরুর সাথে সম্পর্কিত। এটি সম্পূর্ণ নতুন ব্যবসায় হতে পারে, নতুন পণ্য বা সেবা ব্যবসায়ে সংযুক্ত করার প্রয়াস হতে পারে, নতুন প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি চালু করা হতে পারে, নতুন বাজারে প্রবেশ প্রচেষ্টা হতে পারে- এর সবকিছুর সাথেই যেহেতু নতুন চিন্তা যুক্ত তাই এগুলো ব্যবসায় উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত । উদ্যোগের উদ্দেশ্য মূলত জনকল্যাণ কিন্তু ব্যবসায় উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন । অধিকাংশ উদ্যোগের ক্ষেত্রে সাধারণত আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা তেমন থাকে না কিন্তু ব্যবসায় উদ্যোগের ক্ষেত্রে আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে ।